বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে কী কী কথা হয়েছে, তার বিস্তারিত অবশ্য বলতে নারাজ দলটি।
সোমবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। দুপুর দেড়টায় রাষ্ট্রদূতের গাড়ি কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বেলা ৩টা ১০ মিনিটে বেরিয়ে যায়।
পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। যদিও তিনি আলোচনার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আলাপ হয়েছে সার্বিকভাবে। আমরা ভালো আলোচনা করেছি।’
নির্বাচন ইস্যুতে আপনারা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে সেটা এখানে বলতে পারব না। এটা আপনারা বুঝতেই পারছেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কানাডাসহ কয়েকটা দেশ এগুলোতে দৃঢ় অবস্থান নেয় সব সময়। তারা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সময়.. তাদের ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন যেটা, বাংলাদেশ সরকারকে বাইলেটারেলি বলে আসছে যে এখানে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যু লঙ্ঘন হচ্ছে …।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কানাডার পক্ষ থেকে কনসার্ন তো আছেই, স্বাভাবিক। বাংলাদেশের জনগণের যে রকম কনসার্ন আছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো, মাল্টিলেটারেল বডি এবং মানবাধিকার সংস্থা সবার যেমন কনসার্ন আছে, তাদেরও তো কনসার্ন থাকা… বিশেষ করে মানবাধিকারের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি, গণতন্ত্রের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি।’
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
কানাডা ও বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কানাডার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আামি তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি কানাডার সঙ্গে এই নেগোশিয়েট করেছিলাম।
‘আমাদের বড় একটা রপ্তানির জায়গা কানাডা। আমদানির জন্য বাংলাদেশের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কানাডা। আমাদের মূল কিছু জিনিস যেমন গম, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য যার একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আমাদের দেশে আসে।
‘আমাদের ছেলেমেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলেমেয়েরা কানাডা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটা বড় বংশোদ্ভূত শ্রেণি বাস করছে যারা কানাডার অর্থনীতিতে ও সমাজে কনট্রিবিউট করছে।’