মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির সমাবেশের আগে ফরিদপুরে ধর্মঘট ডেকেছিল বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি। নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকে নছিমন, করিমনের মতো তিন-চাকার যানগুলোও।
তবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হতেই বিভেদ ভুলে এসব যান আবার সড়কে চলতে শুরু করেছে।
ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শেষ হবার প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই মহাসড়কে বাস চলতে দেখা গেছে। চলছে থ্রি-হুইলার যানও।
এ অবস্থায় ধর্মঘটের যৌক্তিকতা এবং থ্রি-হুইলার বিষয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। রাজনৈতিক কারণে সরকারের পক্ষ থেকে জনভোগান্তি কমাতে বাস ধর্মঘট বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলেও অনেকে মনে করছেন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেখা গেছে, সমাবেশস্থলসংলগ্ন মহাসসড়ক দিয়ে পূর্বাশা পরিবহন চলাচল করছে। সারা দিন মহাসড়ক ফাঁকা থাকলেও সমাবেশ শেষ হতেই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। বাস কাউন্টারগুলোতেও আলো জ্বলছে। চলছে টিকিট বিক্রি।
বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কর্মচারী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা থেকেই টিকিট বিক্রির জন্য কাউন্টার খুলে দিই। তবে রাত ৮টার আগের কোনো টিকিট বিক্রি করিনি। ৮টার বাস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাবে।’
জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মো. নাছির বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অনুযায়ী, সময় শেষ হওয়ায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে।’
সরকারের পক্ষ থেকে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সামনে আরও বড় কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।