ফরিদপুরে চলা ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন মাগুরা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
মাগুরাসহ একাধিক জেলা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় আসতে হয়। ধর্মঘটে এ রুটে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।
এমন পরিস্থিতিতে মাগুরা জেলা বাস টার্মিনালে সকাল থেকেই দূরপাল্লার পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।
বাস বন্ধ থাকায় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানিয়ে যাত্রী সাহেব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাবাকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যালে যাব ডাক্তার দেখাতে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টার্মিনালে বসে আছি।
‘জরুরিভাবে বাবাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে। এ জন্য ফরিদপুর যেতে হবে, কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় খুব ঝামেলায় পড়লাম।’
সাহেবের বাবা সুরুজ আলী বলেন, ‘আমার প্রশ্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। মাগুরা হাসপাতাল থেকে বলেছে ফরিদপুর মেডিক্যালে যেতে। এখন খুব কষ্ট পাচ্ছি।
‘ছোট টেম্পুতে যাওয়া যায়, কিন্তু আমি সহ্য করতে পারব না। এখন খুব কষ্টে বাসের অপেক্ষায় বসে আছি।’
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পরিবহনের অপেক্ষায় থাকা পোশাকশ্রমিক সেলিম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঢাকা যাব। এসে দেখি বাস নেই।
‘কীসের ধর্মঘট, তা স্পষ্ট করে কেউ বলছেন না। ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের জন্য বাস বন্ধ বলে শুনেছি।’
ঢাকা যাওয়ার জন্য বিকল্প পরিবহন খুঁজতে থাকা রুবেল ও নাহিদ নিউজবাংলাকে জানান, তারা দুজনই প্রাইভেট কার চালান। ছুটি শেষ বলে আজই মালিক বলেছে জয়েন করতে।
রুবেল বলেন, ‘জানিই না বাস বন্ধ। এখন চাকরি না হারায়া ফেলি। কী করব বুঝতে পারছি না।’
মাগুরায় ধর্মঘট না হলেও বাস বন্ধ কেন জিজ্ঞেস করা হলে টার্মিনালের হানিফ বাস কাউন্টারের মাস্টার বাদশা মিয়া বলেন, ‘মালিকপক্ষ বাস বন্ধ রেখেছে। আমাদের কিছু করার নেই। বাস বিকালে ছাড়তে পারে।’
এদিকে পরিবহন নেতারা জানান, বাস চলতে কোনো সমসা নেই, কিন্তু ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে বাসমালিকদের শঙ্কা রয়েছে। তাই তারা বাস ছাড়ছেন না।
মাগুরা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমদাদুর রহমান বলেন, ‘মাগুরায় ফরিদপুরের ধর্মঘটের প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। ফরিদপুরগামী বাস আপাতত বন্ধ। বিকালের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’