বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির মার্কেটিং বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সিরেমনির জমকালো আয়োজন

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:২৭

এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার শুরু হয় এই আয়োজন। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকরা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় জমকালো এই আয়োজন।

জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগের ২৩তম ব্যাচের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সিরেমনি, যেখানে বিভাগটির প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বর্ণিল এই আয়োজনে গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিল নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক আজাদী।

এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার শুরু হয় এই আয়োজন। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকরা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় জমকালো এই আয়োজন।

এই দিন সকাল থেকে আট শতাধিক শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে চবির মার্কেটিং বিভাগ। পুরো বিভাগ সাজানো হয় নানা সজ্জায়। শিক্ষার্থীরাও সাজেন উৎসবের সাজে। আবার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ফটোফ্রেমে আবদ্ধ হতে দেখা গেছে বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে।

দীর্ঘ সময়ে বিভাগে পড়াশোনার আনুষ্ঠানিক এই সমাপ্তিতে এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সহপাঠী ও অনুজদের সামনে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন অনেকে। শিক্ষকদের নির্দেশনামূলক বক্তব্যও শোনেন মনোযোগ দিয়ে।

এদিকে বিকেলে সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল বিভাগটির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান-নাচ। যেখানে সবাই এক সুরে গেয়েছেন পুরোনো দিনের গান। আর গানে গানে হারিয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথমদিকের দিনগুলোতে। এ ছাড়া সিনিয়রদের সঙ্গে শেষ সময়ে একসঙ্গে উপভোগ করেছেন জুনিয়র শিক্ষার্থীরাও।

এ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন বিভাগটির শিক্ষার্থী মো. আরফাত উদ্দিন মামুন। তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমরা আমাদের প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আসলে আমরা এলামনাই থেকে শুরু একদম মোস্ট জুনিয়র পর্যন্ত সবাই পুরো প্রোগ্রাম মিলনমেলায় পরিণত করেছি। সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রোগ্রামের স্পনসর, আমাদের অ্যালামনাই এবং জুনিয়রদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

‘কারণ তাদের কারণেই আজকে আমরা সুন্দরভাবে বিদায় নিতে পেরেছি। বিদায়বেলা আসলে অনেক বেদনার, কিন্তু আমরা অনেক আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছি, যার জন্য জুনিয়রদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

রাব্বী খান নিরব বলেন, ‘২৩ ব্যাচের একসঙ্গে পথচলার আজ শেষ হলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক, ব্যাচমেট, জুনিয়র ও সিনিয়র সবার সমর্থন আজকের দিনটিকে পরিপূর্ণ করেছে, যা আমাদের সবার দুঃখ ভারাক্রান্ত বিদায়কে স্মৃতিময় করে তুলেছে। আমরা ২৩ ব্যাচ সব সময় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। বিদায় সব সময় নতুন কিছুর সূচনা নিয়ে আসে, তাই সময়ে অসময়ে হয়তো দেখা হবে আবার। আমরা সেই সূচনায় আবার সবাইকে খুঁজে নিব। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সবার জন্য।’

বিভাগের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আসিফুর রহমান রকি বলেন, ‘গত ৭ বছরে বন্ধুর মতো তাদের পেয়েছি। আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। তাদের বিদায় দিতে খারাপ লাগছে। সামনে আমাদেরও চলে যেতে হবে। আশা করি ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে আমরা বিদায়ীদের বরাবরের মতো পাশে পাব ও পাশে থাকব।’

২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সিরেমনি’ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, ‘সেশনজটের কারণে সব ব্যাচ সময়মতো বের হতে পারে না। তবুও এই উৎসবে তারা নেতিবাচক সব স্মৃতি ভুলে বিভাগের সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। শিক্ষাজীবন শেষে তাদের এখন কর্মজীবনে প্রবেশের সময়। সুন্দর আগামীর জন্য তাই শুভ কামনা।’

এ বিভাগের আরো খবর