বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৩ মামলার আসামি নিহত

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:২৯

র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন নিউজবাংলাকে জানান, দুই পক্ষে গোলাগুলির সময় সিটি শাহীনের পায়ে শটগানের গুলি লাগে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মুগদা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাসহ ২৩ মামলার আসামি রাসেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহিন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে র‍্যাব এবং শাহীন ও তার দলের ১০-১২ জনের মধ্যে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ২টার দিকে আমাদের অপারেশন ছিল। আমরা যখন কাছাকাছি পৌঁছেছি তখন ওরা ১০-১২ জনের মতো ছিল। ওদের কাছে শটগান ও পিস্তল ছিল। সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে আমরাও পাল্টা ফায়ার করি। এ সময় সিটি শাহীনের পায়ে শটগানের গুলি লাগে।’

তিনি বলেন, ‘শাহীনের পায়ে গুলি লাগার পর উল্টো দিক দিয়ে তার সঙ্গীরা আমাদের ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা চালায়। তবে আমাদের ফায়ারের কারণে একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ শাহীনকে আমরা মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।’

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, সিটি শাহীনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা, তিনটি হত্যাচেষ্টার মামলা। অন্যগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, সংঘবদ্ধ ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র, পুলিশ আসল্টসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলা।

সিটি শাহীনের মরদেহ এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) আবির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ছিল সিটি শাহীন। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায়ই হত্যাসহ ৭ থেকে ৮টি মামলা রয়েছে।

‘কিছুদিন আগে র‌্যাব তাকে ধরতে গেলে র‌্যাবের ওপর হামলা করে সিটি শাহীনসহ তার লোকজন। এর আগে শাহীনের অন্যতম সহযোগী জয়নাল ও রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, চনপাড়ায় আধিপত্য ও মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে সিটি শাহীন অন্যতম। আধিপত্য ও মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যেসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার অনেক ঘটনায় শাহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুলিশও তাকে ধরার চেষ্টা করেছে একাধিকবার।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সিটি শাহীনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তবে সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগী হিসেবে চনপাড়াসহ কায়েতপাড়ায় প্রভাব বিস্তার করত। এ কারণে স্থানীয়দের কাছে আতঙ্কের নাম ছিল সিটি শাহীন।’

এ বিভাগের আরো খবর