দুর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ ফাঁকা করে এখন আইএমএফের লোন নিয়ে সরকার জনগণকে আবারও ঋণের মধ্যে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ঋণ তো নিচ্ছেন, শোধ করবেন কীভাবে?
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আইএমএফ থেকে ঋণ পেয়ে ডুগডুগি বাজাচ্ছেন। এর আগে বলেছিলেন যে আইএমএফের ঋণ লাগবে না। এখন কেন আইএমএফের লোন নিচ্ছেন? কারণ দুর্নীতি করে রিজার্ভ ফাঁকা করে দিয়েছেন। জনগণকে এখন আরেকটা ঋণের মধ্যে ফেলছেন। এই ঋণ শোধ করবেন কীভাবে?
‘নিরপেক্ষ সরকারের হাতে অবিলম্বে ক্ষমতা দিয়ে সরে দাঁড়ান।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
টাকা পাচার করে বিদেশে ব্যবসা করার হিড়িক পড়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘একটি দেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের হিড়িক পড়েছে। সেখানকার শেয়ার ব্যবসাসহ নানা জায়গায় তারা বিনিয়োগ করছে।’
১৪ বছর ধরে বিরোধী দল দমনে সরকার গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ার হচ্ছে মামলা দেয়া। পুরোনো যেসব মামলা ছিল সেগুলো সচল করা হচ্ছে। ১৪ বছর ধরে একই খেলা চলছে। মামলা দিয়ে আমাদের দমানো যাবে না।
‘গণসমাবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। তারা জানে না প্রতিটি ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে। নূর আলমদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের পুরোনো চেষ্টায় লিপ্ত সরকার। তাই সবাইকে সতর্ক থেকে জনগণের দাবি আদায়ে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, “গুম, খুন, নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ১০ বছর আগে ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন হয়। এখন এর বিপরীতে ক্ষমতাসীনরা ‘মায়ের কান্না’ তৈরি করেছে। স্বাধীনতা আন্দোলন ব্যর্থ করতে তারা পুরোনো অলীক ইস্যুকে সামনে এনে চক্রান্ত করছে।”
ফখরুল বলেন, জিয়ার মাজার সরিয়ে নেয়ার কথা বলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিএনপি এটাকে হালকা করে নিচ্ছে না। এর মাধ্যমে জনগণের নজর ভিন্নদিকে নিতে চায়। বিএনপি তা হতে দেবে না।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিল, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগর নেতা ইসরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।