বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌড়ে এবারও বয়স ইস্যু

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫৮

ছাত্রলীগের সম্মেলন দেরিতে হওয়ায় গত কয়েকটি সম্মেলনে নেতাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা অলিখিতভাবে দুই বছর বাড়িয়ে ২৯ নির্ধারণ করা হয়। এবার আরও এক বছর বাড়ানোর দাবি করেছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা।

বয়সের বাধ্যবাধকতার কারণে এবার ছাত্রলীগের শীর্ষ পদগুলোয় আলোচিত নেতাদের অনেকেই বাদ যাবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্ধারিত হওয়ার কথা বলা আছে ২৭ বছর। সেটিতে কোনো ব্যত্যয় ঘটানো না হলে এ পদগুলো পেতে আগ্রহীদের অনেকে নেতৃত্বের দৌড়ে থাকতেই পারবেন না।

ছাত্রলীগের আগামী সম্মেলনে ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত হওয়ায় এরই মধ্যে সরব হয়েছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহীরা। তারা শুরু করেছেন তদবির-লবিং। ছুটছেন প্রভাবশালী এবং ছাত্রলীগের দেখভালে নিয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায়, অফিসে।

সম্মেলন দেরিতে হওয়ার কারণে গত কয়েকটি সম্মেলনে নেতাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা অলিখিতভাবে দুই বছর বাড়িয়ে ২৯ নির্ধারণ করা হয়। এবার আরও এক বছর বাড়ানোর দাবি করেছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ছাত্রলীগের মূল নীতিনির্ধারক। বয়সের বিষয়ে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই চূড়ান্ত।’

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের আগামী সম্মেলনে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচিত সোহান খান, প্রদীপ চৌধুরী, ইয়াজ আল রিয়াদ, সৈয়দ আরিফ হোসেন, কামাল খান ত্রিশোর্ধ। আর সাদ বিন কাদের, মেহেদী হাসান তাপস, আবু হাসনাত হিমেল, শামীম পারভেজ, নাজিমুদ্দিন, নাহিদ হাসান শাহীন, তুহিন রেজা, আব্দুল্লাহ হিল বারী, বরিকুল ইসলাম বাধন, রনি মোহাম্মদ, ফুয়াদ হাসান শাহাদতের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে।

সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদক প্রদীপ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আগামী ৩০তম সম্মেলনে আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পদপ্রত্যাশী। সংগঠনের অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে যে বয়স নির্ধারণ করবেন এবং যাদের যোগ্য বলে বিবেচনা করবেন, তারাই সংগঠনের হাল ধরবেন।’

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের চার নেতার অন্যতম এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংগঠনে ত্যাগ, শ্রম এবং যোগ্যতা বিবেচনায় নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ পাড়ি দিয়ে যারা পরীক্ষিত, তারাই নেতা হবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদায়ী কমিটিতে সহসভাপতি ও বিভিন্ন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকারী বেশ কিছু নেতা শীর্ষ দুই পদের বিষয়ে আগ্রহী। এ ছাড়া সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতারাও কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পদগুলো পেতে চান।

ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও এখন আলোচনা, কোন নেতা উড়ে এসে জুড়ে বসা আর কোন নেতা নিবেদিতপ্রাণ।

শাসক দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ পদ পেতে আগ্রহীরা হলেন বর্তমান সহসভাপতি শেখ সাগর আহমেদ, সোহান খান, ইয়াজ আল রিয়াদ, সৈয়দ আরিফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম শামীম, কামাল খান, রাকীব হোসেন, মাহমুদুল হাসান তুষার ও তিলোত্তমা শিকদার।

শীর্ষ দুই পদে যেতে চাওয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে রয়েছেন প্রদীপ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, তাহসান রাসেল, বেনজীর নিশি।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরদৌস আলম, বরিকুল ইসলাম বাধন, সোহানুর রহমান সোহান, সাদ বিন কাদের, নাজিমুদ্দিন; প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক এমরান জমাদ্দার, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক প্রতুল চন্দ্র রায়, ক্রীড়া সম্পাদক আলামিন সিদ্দিক সুজন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হাসনাত হিমেল, মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদৎ, গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, গণযোগাযোগ সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, পরিবেশ সম্পাদক শামীম পারভেজ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, উপদপ্তর সম্পাদক সজীব নাথ, উপ-তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আহসান পিয়ালও শীর্ষ দুই পদের প্রার্থী।

এদের মধ্যে কথা হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম এবং ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক এমরান জমাদ্দারের সঙ্গে।

ফেরদৌস আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের আদর্শ সত্যিকার অর্থে ধারণ করেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী এবং রাজনীতিকে ভোগ বা বিলাস ভাবেন না, তাদের মধ্যে থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’

এমরান জমাদ্দার বলেন, ‘গত কমিটি হওয়ার পর থেকে যারা সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন, দুঃসময়ে ছাত্রলীগ ছেড়ে যাননি, পদ পেয়ে হারিয়ে যাননি, তাদের মধ্যে থেকে নেতা নির্বাচিত হোক।

‘সম্মেলনের কথা শুনে যারা আবার সক্রিয় হয়েছেন বা ত্যাগের রাজনীতি না করে ভোগের রাজনীতি করেছেন, এখন এসে আবার হঠাৎ করে উদয় হয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে জাহির করছেন, তারা যেন নেতৃত্বে আসতে না পারেন।’

এ বিভাগের আরো খবর