ফেনীতে বাস ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী দুলা মিয়া রাস্তার মাথায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়াজ উদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়, আরেকজন কুমিল্লার সদর উপজেলা দুর্গাপুর গ্রামের কাভার্ড ভ্যান চালক নাজমুল হাসান। আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত বাকি দুজনের পরিচয় শনাক্ত করছে পিবিআই কর্মকর্তারা।
মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে, আরেকজনকে হাসপাতালে আনার পর মারা যায়। ঘটনার পরপরই যানজটের সৃষ্টি হলেও প্রায় এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ওসি বলেন, ‘সংঘর্ষে বাসটি শতভাগ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাস এবং কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করে মহিপাল হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।’
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আসিফ ইকবাল জানান, আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হচ্ছে ফেনী জেলার ফোরকান মিয়া, ঢাকার আমির হামজা, চট্টগ্রামের সুজন দাস। তাদের সবার অবস্থা গুরুতর।
আহত অন্যরা হচ্ছে, আবুল কালাম, আরিফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের ছাত্র রাউযান সরকার, আব্দুল হান্নান, নয়ন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুদ্দিন জানান, বেলা ১১ টার দিকে বিকট শব্দে সংঘর্ষ হয়। তখন লোকজন এসে দেখে মানুষজন দুটি গাড়ির মাঝখানে আটকে আছে। অনেককে কেটে বের করতে হয়েছে।