বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৩৫

দোলেনা খানমের স্বামী মো. রাজা শেখ বলেন, ‘আমার স্ত্রী আজকে উপজেলা পরিষদের ভবনে গিয়েছিল। সেখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে ডেকে কথা বলতে চায়। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে দুটি থাপ্পড় ও পরে একটি লাথি মারে। এতে আমার সে আঘাত হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

খুলনার তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই নারী ইউপি সদস্য দোলেনা খানম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে তেরখাদা উপজেলা পরিষদের ভবনে এই ঘটনা ঘটে।

দোলেনা খানমের স্বামী মো. রাজা শেখ বলেন, ‘আমার স্ত্রী আজকে উপজেলা পরিষদের ভবনে গিয়েছিল। সেখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে ডেকে কথা বলতে চায়। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে দুটি থাপ্পড় ও পরে একটি লাথি মারে। এতে আমার সে আঘাত হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে প্রথমে ছাগলাদাহ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ করা হয়েছিল। পরে অন্যায় ভাবে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করায় তাকে মারধর করা হয়েছে।’

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ওই সময়ে কারাগারে থেকেই চেয়াম্যান পদে নির্বাচিত হন এসএম দীন ইসলাম।

নির্বাচনের পরে নিয়ম মোতাবেক তেরখাদা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বারদের মধ্যে থেকে তিন জনকে প্যানেল চেয়্যারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন, প্যানেল চেয়্যারম্যান-১ দোলেনা খানম, প্যানেল চেয়্যারম্যান-২ আনিসুর রহমান ও প্যানেল চেয়্যারম্যান-৩ উজ্জল শেখ। সেই হিসেবে চেয়্যারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন দোলেনা খানম।

তবে কিছুদিন পরে মামলাটিতে জামিন পান এসএম দীন ইসলাম। পরে পরিষদে গিয়ে তিনি নতুন করে প্যানেল চেয়্যারম্যান নির্বাচিত করেন। সেই সময়ে প্যানেল চেয়্যারম্যান-১ নির্বাচিত হয় আনিসুর রহমান। কিছুদিন পরে এসএম দীন ইসলাম হত্যা মামলায় যাবজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় কারাগারে যান। তখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেন আনিসুর রহমান। এই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটে আপত্তি জানান অন্যান্য ইউপি সদস্যরা।

চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পুনরায় ভোটাভুটির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নির্বাচিত হয় উজ্জল শেখ। বিষয়টি আইগত ভাবে হয়নি দাবি করে ইউপি মেম্বার দোলেনা খানম আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিবাদী করা হয় খুলনা জেলা প্রশাসক, তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ উজ্জল শেখকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাগলাদহ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বসে পুনরায় ভোটাভুটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। তখন ওই নারী কোন আপত্তি জানাননি। এখন কারো কুপরামর্শে আমাদের নামে মামলা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমি তাকে মারধর করিনি। শুধু বলেছি আমাদের নামে মামলা করেছিস কেন? এই বললে সে বকাবকি করে সিড়ি দিয়ে নেমে গেছে। এখন সবার কাছে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর