বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অতীতে জামায়াত-বিএনপির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সারা দেশে পেট্রলবোমা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি নির্দেশে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০১৩ সালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ চলমান থাকা অবস্থায়, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রতিরোধ করতে এবং ২০১৫ সালে খালেদা জিয়া ঘোষিত তথাকথিত অবরোধ কর্মসূচির নামে জামায়াত-বিএনপির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশজুড়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়।
‘স্কুলগামী শিশু থেকে শুরু করে পরিবহনশ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কেউই এই সন্ত্রাসের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতারা টেলিফোনযোগে তাদের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে মানুষ হত্যার নির্দেশনা দিচ্ছেস- এমন টেলিফোন আলাপও গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল।’
তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী রাজনৈতিক শক্তি। অগ্নিসন্ত্রাসের কারণেই কানাডার ফেডারেল আদালত দুটি পৃথক মামলায় বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে রায় দেয়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সারা দেশের বিবেকবান মানুষ যখন জামায়াত-বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় ঘটনার বিচার দাবি করছে তখন বিএনপির নেতারা নির্লজ্জভাবে অতীত অপকর্মের দায়ভার অস্বীকার করার হাস্যকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।