রাজধানী ঢাকার কাটাবনের দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য রাখা পশু-পাখিদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রিটে এসব প্রাণীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণিকল্যাণ আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কাটাবনে দোকানগুলোতে রাখা প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণকারী বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রাণীকল্যাণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ মারুফুল হক নামে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার এক বাসিন্দা সোমবার হাইকোর্টে রিটটি করেন।
রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, আইন সচিবসহ ৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন ব্যারিস্টার তৌফিকুল ইসলাম খান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, কাটাবনে দোকানে রাখা প্রাণীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। যা প্রাণীকল্যাণ আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। যে কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রিটটি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে আছেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্বাস উদ্দিন।
বিক্রির জন্য সংরক্ষিত পশু-পাখির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণকারী বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রাণিকল্যাণ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত ১৭ আগস্ট আবেদন করা হয়।
অধিদপ্তর থেকে গত ২৯ অক্টোবর আবেদন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে আবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় এবং বিক্রেতাদের নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন মোহাম্মদ মারুফুল হক।