বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আসছে ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে; যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের বাঁচাতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে সোমবার অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন বলছেন। তিনি তো মুক্তই। তাকে নিয়ে তো একটা মিছিলও করতে পারেননি আপনারা। খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি কইরেন না, বেশিও বুইঝেন না।
‘তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে গেছেন যে তিনি রাজনীতি করবেন না। তারপর তিনি লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজনীতি চালাচ্ছেন। ডিসেম্বরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পালানোর দল আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি। বিএনপির আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। এখন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামবেন তা হবে না।
‘বরিশাল ও রংপুরে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে মানুষ নিয়ে গেছেন। দশ লাখ মানুষের কথা বলেন। অথচ সমাবেশে তো দেখেছি আপনাদের চেয়ার ফাঁকা থাকে।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সারা বিশ্ব আজ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে। এখন বছরের প্রথম দিনেই বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়। সবকিছু ঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আবারও শেখ হাসিনার সরকার গড়তে হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে সভাপতি পদে চারজন ও সেক্রেটারি পদে চারজনের নাম উঠে আসে। পরবর্তীতে পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক ও সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরকে পুনরায় নির্বাচিত করে নাম ঘোষণা করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।