সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসা থেকে রিপন দাস ও শিপ্রা তালুকদার দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যুর দুটি মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে জালালাবাদ থানায় মামলা দুটি করেন রিপন দাসের ভাই রূপন দাস এবং শিপ্রা তালুকদারের বড় ভাই নিবারণ তালুকদার।
সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ মামুন জানান, সোমবার ওই দম্পতির ময়নাতদন্ত হয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রোববার দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ঘর থেকে কান্নারত অবস্থায় তাদের দেড় বছরের ছেলে ঋত্বিক তালুকদারকে উদ্ধার করা হয়। ঘরে একটি চিরকুটও পায় পুলিশ।
প্রতিবেশী ও দম্পতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিপন বিস্কুট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রায় তিন বছর আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। দুজন ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
তারা আরও জানান, শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘরে শিশুর কান্না শুনতে পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা ঘরের টিন কেটে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। ওই সময় দেড় বছরের শিশুটি তার মায়ের পা ধরে কান্না করছিল। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল জানান, ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা চিরকুটে ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো’ লেখা রয়েছে, তবে চিরকুটটি শিপ্রা নাকি রিপন লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ওই দম্পতির ছেলেকে নানির জিম্মায় দেয়া হয়েছে।