বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড: ২১৯ পদে কর্মরত ৬৯ জন

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:০৭

সার্টিফিকেটে নামের ভুল সংশোধন করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বোর্ডে আসছেন আবদুল হাই। তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে আবেদন করেছি। এখনও সনদের সংশোধিত দ্বি-নকল পাই নাই। বোর্ড থেকে বলে আজ আসেন না হয় কাল আসেন। নোয়াখালী থেকে এভাবে কতবার আসা যায়?’

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লায় দীর্ঘদিন ধরে জনবল নিয়োগ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেবা প্রদান। বোর্ডে সেবা নিতে আসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পড়ছেন ভোগান্তিতে।

এই বোর্ডের ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয় গত বুধবার।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ৬ জেলার ১ হাজার ৯৬৫টি মাধ্যমিক স্কুল ও ৪২৬টি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও এইচএসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও লোকবলের অভাবে বাড়েনি সেবার মান। বর্তমানে এখানে ২১৯ পদে কর্মরত মাত্র ৬৯ জন। ১৯৮৪ সালের পর নিয়োগ বন্ধ থাকায় বলা যায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সেবা দান।

সার্টিফিকেটে নামের ভুল সংশোধন করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বোর্ডে আসছেন আবদুল হাই। তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে আবেদন করেছি। এখনও সনদের সংশোধিত দ্বি-নকল পাই নাই। বোর্ড থেকে বলে আজ আসেন না হয় কাল আসেন। নোয়াখালী থেকে এভাবে কতবার আসা যায়?’

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভোগান্তি ছাড়া এখানে সেবা পাওয়া যায় না।’ কেন এমন ভোগান্তি- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কর্মকর্তা নেই। কে স্বাক্ষর করবে আমাদের সার্টিফিকেটে? নানা সমস্যা।’

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা উপনিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্তত ১৫ জন দরকার মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখায়। এখানে আছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপনিয়ন্ত্রকসহ মাত্র তিনজন। সর্বোচ্চ চাপ নিয়ে কাজ করছি। আমি নিজেও দুটি শাখার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তো নেই বললেই চলে। এভাবে আর কত দিন?’

বোর্ডের কার্যক্রম শ্লথ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের বলেন, ‘১৯৮৪ সালের পর এ বোর্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিয়োগ হয়নি। যার কারণে বোর্ডের অনেক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে আশার ব্যাপার হলো আমরা নিয়োগ প্রদানের অনুমোদন পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা অতি শিগগির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর