বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার ও নিত্যপণ্য আমদানি যেন ব্যাহত না হয়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:১৩

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সমস্যা হলে দেশের ভেতরে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। যা প্রকারান্তরে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে।’

ডলার সংকট মোকাবিলায় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে আমদানি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

তবে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সার ও খাদ্যশস্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী। রোববার দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সমস্যা হলে দেশের ভেতরে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। যা প্রকারান্তরে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে।’

বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমেদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাণিজ্য সচিব তপনকান্তি ঘোষসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে চলমান ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত, আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হয়। ডলার সংকটের কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রী এবং তা মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।

ডলার সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছেন না। বরং সংকট আরও গভীর হচ্ছে। এলসি খোলা কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। ছোট কিছু ব্যাংক এখন কোনো ধরনের এলসি খুলছে না।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রপ্তানিকারকদের বাইরে কোনো ব্যাংক এলসি খুলতে চাচ্ছে না। খুললেও ২০ হাজার ডলারের বেশি এলসি নিচ্ছে না। এতে স্থানীয় শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে আছেন বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি করে শুধু দেশের বাজারে বিক্রি করেন। তাদের ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে, পরিচালন ব্যয় হচ্ছে। অথচ উৎপাদন করতে পারছেন না। ফলে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ‘শতভাগ এলসি মার্জিন দিয়ে এলসি খোলার ফলে এমনিতেই খরচ বেড়েছে। কেননা, আগে যেখানে পণ্য আসার পর টাকা দিতে হতো, এখন পণ্য আসার দুই থেকে তিন মাস আগে দিতে হচ্ছে। এর পরও অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না।’

তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা মনে করেন, ডলার সংকট উত্তরণে এখন রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার হার আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা যেতে পারে। পাশাপাশি যেসব বাধা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কিছু কিছু খাদ্য পণ্য আমদানিতে এখনও কর-ভ্যাট আরোপ আছে। তা তুলে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে তুলে নিতে হবে। এ জন্য এনবিআরকে পরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছেন তিনি।

সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গরিব মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও গম খাওয়াচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এ সব খাতে যাতে কোন কাটছাঁট না করা হয়। এটা করা হলে গরিবের দুভোর্গ আরও বাড়বে।’

সম্প্রতি দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসায় ভাটা পড়ে। ব্যাকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এখন আমদানি, প্রবাসী আয়, রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্য আলাদা বিনিময় হার বা ডলার রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডলারের রেটের মধ্যে যে তারতম্য বা ফারাক আছে তা কমিয়ে আনতে হবে।’

বিদ্যুতের কারণে গ্যাস সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। এতে দেশে পণ্য উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বেশি দামে হলেও গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।

বৈঠকে গ্যাস সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী। বেশি দামে এলএনজি গ্যাস আনা যায় কি না তা পর্যালোচনা করতে বলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর