তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনও ফিরবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সিলেটে কবি নজরুল অডিটরিয়ামে রোববার মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় এ কথা বলেন সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না। সংবিধান মেনেই আগামী বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। সবাইকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি পদ্মা সেতু নিয়েও মিথ্যাচার করেছিল। বলেছিলে এ সেতু হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। বিএনপির মিথ্যাচার সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে আছে। দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের কাছে এখন উদাহরণ।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সম্মান করেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। এ কারণেই মির্জা ফখরুলেরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন। গণতন্ত্র আছে বলেই তারা সমাবেশ করতে পারছেন। কিন্তু বিরোধী দলে থাকার সময় আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সভায় বলেন, ‘বিএনপির জন্মই হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে অবৈধ পন্থায়, তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। এই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন জেনারেল জিয়া।’
বক্তব্য দেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
নির্বাচনের জন্য বুঝেশুনে প্রার্থী বাছাই করতে হবে জানিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রতি অভ্যন্তরীণ বিভেদ মেটানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছু বিভেদ আছে। তবে আমরা যদি এক হয়ে মাঠে নামি, কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। আর আমাদের বিরোধীরা খুব দুর্বল। তারা হাওয়ার ওপরে আছে। তারা কেবল মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
‘আমাদের অর্জন অভাবনীয়। সবক্ষেত্রে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাফল্য লাভ করেছি। আগামী নির্বাচনে অবশ্যই আমাদের জয়লাভ করতে হবে। প্রার্থী বুঝেশুনে দিতে হবে। আর আমাদের মধ্যকার বিরোধের নিষ্পত্তি করতে হবে।’