বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ হতে না হতেই বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোলা-বরিশাল রুটেও স্পিডবোড চলছে।
তবে অভ্যন্তরীণ রুটে এখনও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়নি।
অপরদিকে, বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাসই রাতে চলবে না বলে জানা গেছে। তাই আগামীকাল সকাল থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছে বাস কাউন্টারগুলো।
এ ছাড়া নগরীতে সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকা অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো শনিবারও চলেনি। তবে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে সুন্দরবন-১১, পিএস আওলাদ ও পারবত-১৮ লঞ্চ যাত্রী নিয়ে যথা সময়ে ছেড়ে যাবে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘আজ বরিশাল থেকে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে তেমন যাত্রী নেই লঞ্চগুলোতে।’
এদিকে বরিশাল ডিসি ঘাট থেকে স্পিডবোড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. তারেক জানান, বিকেল ৪টার পর ভোলা থেকে স্পিডবোড চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় তারাও নিয়ম অনুযায়ী বরিশাল থেকে বোট চালানো শুরু করেছেন। বিকেলে প্রচুর যাত্রী হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে রাতে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাবে না বলে জানিয়েছে বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অল্টিমেটাম ছিল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত। তাই এর আগে বাস চলাচল সম্ভব নয়।’
এদিকে বাস কাউন্টারগুলোর দায়িত্বে থাকা স্টাফরা জানান, ‘অনেকেই ঢাকা যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসেছেন। তবে বাস চলাচল না করায় ফিরে যাচ্ছেন তারা। অনেকে আবার রোববার সকালের অগ্রিম টিকেট ক্রয় করছেন।’
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন শিপন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে রাতে বৈঠক করবো। আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখার আল্টিমেটাম দেয়া আছে। সেটা বাড়ানো হবে কি-না ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’
যদিও নগরজুড়ে মাহিন্দ্রা-টেম্পু-সিএনজিসহ থ্রি-হুইলার যানবাহনগুলো সন্ধ্যার পর থেকেই আগের নিয়মে চলাচল শুরু করেছে।