বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিমানে করে শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন তিনি। সঙ্গে এসেছেন দলের কেন্দ্রীয় আরও কয়েকজন নেতা।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেতাদের বরণ করে নেন। তারা বিমানবন্দর থেকে নেতাদের সরাসরি হোটেলে নিয়ে যান।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে এসেছেন। এবারের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলন।’
সমাবেশ সফল করতে বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে নগরীতে মিছিল বের করে ছাত্রদল।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিমেল বলেন, ‘আমরা কোনো সহিংসতার পক্ষে নই। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। আমাদের বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমাদের নেতা-কর্মীরা জনসভাস্থলে আসবেই।’
বরিশাল নগরীতে ছাত্রলীগের শোডাউন। ছবি নিউজবাংলাএদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে আসার আগে বিকেলে নগরীতে মোটরসাইকেল নিয়ে শো-ডাউন করে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বরিশালে বিএনপি একটি নাটকীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। সেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
‘সন্ত্রাসী দল বিএনপি নগরীতে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি।’
বরিশাল নগরীতে সমাবেশস্থল থেকে ছাত্রদলের মিছিল। ছবি: নিউজবাংলাছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের এমন শো-ডাউনে বরিশাল নগরীতে চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাটে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট। বিকেল থেকে সাধারণ লোকজনের চলাচলও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।