উত্তর ঢাকায় ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি জেনারেল হাসপাতাল করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহম্পতিবার সকালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় মহাখালীতে ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘উত্তর ঢাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক হবে। ৫৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশাপাশি মহাখালীর করোনা হাসপাতালকে আমরা জেনারেল হাসাপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লোন নিচ্ছি।
‘এখন যেটি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল, তা ছিল মার্কেট। ২৫৮ টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে আমরা প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা না করে এটা হাসপাতাল বানিয়েছি। দোকান বরাদ্দে যে ১১২ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম, তা ফেরত দিয়েছি।’
ডেঙ্গু বেড়ে গেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এটা মোকাবিলার জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতি সপ্তাহে মতবিনিময় সভা করছি, প্রতিটি ওয়ার্ডের সমস্যা বের করে সমাধান করছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি করছি। যেসব নির্মাণাধীন বাড়িতে একবার জরিমানা করা হয়েছে, সেখানে এডিস লার্ভা পেলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেবো।’
হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা মাথায় রেখে আমাদের যা করণীয় তা করেছি। তারপরও গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালোয়েশিয়াতেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের এখানে রোগীর সংখ্যা কম।
‘মূলত জলবাযু পরিবর্তনের কারণে এই রোগ বেড়েছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমরা ২০২০ সাল থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সাবজোনে ভাগ করেছি। মশা নিধনে যা যা দরকার, আমরা তাই করবো। আর ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালেই হবে ডেঙ্গু চিকিৎসা। এখানে ১ হাজার বেড আছে, ২১২টি আইসিইউ আছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক আহম্মেদসহ কর্মকর্তারা।