বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।
বুধবার রাত ১১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভোলা স্পিডবোট মালিক সমিতি।
যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কিছুসংখ্যক স্পিডবোট চলাচল শুরু করে। তবে ভাড়া অস্বাভাবিক। ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বরিশাল পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছিল।
বরিশালের যাত্রী সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরি করি ভোলায়। বৃহস্পতিবার অফিস থেকে বের হয়ে বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। স্পিডবোট দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। যখন ছাড়ল ৩৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা হয়ে গেল।’
আরেক যাত্রী শ্যামল চন্দ্র বলেন, ‘চরফ্যাশন থেকে আসছি, বরিশাল যাব ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে। ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ-স্পিডবোট সব বন্ধ। দুপুরের পর ঘাটের লোকদের বুঝিয়ে স্পিডবোটে উঠলাম, দ্বিগুণ ভাড়া। বরিশাল পর্যন্ত ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। লাহারহাটের ভাড়া ৩০০ টাকা।’
বোরহানউদ্দিন থেকে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাক্তার দেখানোর জন্য বরিশার যাব। হিসাব করে বাসা থেকে টাকা নিয়ে বের হইছি। ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। স্পিডবোটে দ্বিগুণ ভাড়া। এখন যাব কীভাবে।’
ভোলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মোসলে উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা হতে পারে। এমন আশঙ্কায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভোলা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছেন।
‘তাদের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। তাই নৌ-যানের নিরাপত্তায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি রোগীদের আনা-নেয়ার জন্য কিছু বোট চালু থাকবে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর।’
সকালে দেখা গেছে, ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে শত শত বোট। সেখানে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকেরা।
বরিশালে বাস ও থ্রি-হুইলার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে ৪ ও ৫ নভেম্বর। এ ছাড়া ভোলা থেকে বরিশাল রুটে বুধবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে স্পিডবোট। বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ লঞ্চ চলাচল।
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার।