বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশালে রাত থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২২ ২১:২৩

সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয়া ছাত্রদলের কর্মী আবু মাসুম বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে কোনো আপস করব না। সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, তাই আগে থেকেই নগরীতে এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছি। এখানেই থাকব।’

বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জন্য নির্ধারিত বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একাংশে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। এর আশপাশে রাত থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পরিবহন বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তাদের নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যেই নগরীতে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে চলছে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের একের পর এক শোডাউন। নগরজুড়ে তাই রাজনৈতিক উত্তাপ।

বুধবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থেকে এর দেখভাল করছেন। সমাবেশ সফল করতে তারা প্রস্তুতি সভাও সেরে নিচ্ছেন ফাঁকে ফাঁকে।

চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কোনোভাবেই কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে হোটেলে হোটেলে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাস বন্ধ করা হয়েছে, থ্রি-হুইলার বন্ধ করা হয়েছে, সমাবেশের আগের দিন থেকে বন্ধ থাকবে লঞ্চও। আমাদের নেতা-কর্মীরা দরকার হলে কলাগাছের ভেলায় ভেসে আসবে। যে করেই হোক তারা আসবে, সমাবেশ সফল হবে।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরগুলোর নেতৃত্বস্থানীয়রা সবাই সরকারি দলের পদধারী নেতা। তাদের উদ্দেশ্য তো বিএনপিকে দমন করাই। এ ছাড়া প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের পথরুদ্ধ করতে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। তবে লাভ হবে না। আমাদের সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ চলছে।’

যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘শোডাউন করে বরিশালে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির জনসমর্থন দেখে তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। যদি হোটেলে থাকতে না দেয়, তবে আমাদের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশস্থলেই থাকবে। ইতোমধ্যে অনেকে অবস্থানও নিয়েছে।’

বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয়া ছাত্রদলের কর্মী আবু মাসুম বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে কোনো আপস করব না। সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, তাই আগে থেকেই নগরীতে এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছি। এখানেই থাকব।’

বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘সমাবেশে আসার পথে পথে বাধা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। কোনো বাধাই আমাদের নেতা-কর্মীরা মানবে না। লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে।’

বরিশালের সমাবেশ নিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘গণসমাবেশের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন তত বাড়ছে। এবার বুকে গুলি করলেও আমাদের নেতা-কর্মীরা দাবি আদায় না করে আন্দোলন থেকে সরে আসবে না। তাই যতই পুলিশি অভিযান হোক না কেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা পিছু হটবে না।’

বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে বরিশাল নগরী ছাত্রলীগের মহড়া

এদিকে বরিশাল নগরীতে হঠাৎ শোডাউনের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না বলেন, ‘আমাদের নগরী শান্তির নগরী। এই নগরীতে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আমরা সহ্য করব না। ৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী সমাবেশ করবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় মানুষদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এতে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে জন্যই আমরা নগরী তদারকি করছি।’

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, ‘আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো নিয়মিত বিষয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা থাকবে হোটেলে, সেটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা অভিযান চালিয়েছে কোনো চোর, বাটপার বা ছিনতাইকারী হোটেলে আছে কি না, সেই খোঁজ নিতে।’

এ বিভাগের আরো খবর