অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আগামী রোববার শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করে জামিন স্থগিত করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
তিনি বলেন, ‘রোববার চেম্বার আদালতে এ আবেদেনের ওপর শুনানি হবে। রোববার পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।’
গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট গোল্ডেন মনিরকে জামিন দেয়। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে গোল্ডেন মনিরকে আটক করে র্যাব।
তখন তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামে গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
পরে র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।
আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ হিসেবে।
আটক করার পর র্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা করে।
গত বছরের ২০ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক। পরে ২৩ আগস্ট অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।