মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যার দিনটিকে শোক দিবস করাসহ নানা দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান, মনসুর আলীর পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারে সোহেল তাজের বাবাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
সোমবার স্পিকারের কাছে সোহেল যেসব দাবি তুলে ধরেন, তার মধ্যে আছে:
১. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা;
২. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা;
এবং
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে গুলি করে হত্যার দিন ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্মারকলিপিতে সোহেল তাজ লেখেন, ‘শোক দিবস একাধিক হতে পারে এবং আমরা ইতিমধ্যেই পালন করি, যেমন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৫ মার্চ, ১৪ ডিসেম্বর ইত্যাদি।’
বিকালে মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়া হয়। স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্য আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি।’
সমাবেশ শেষে সমর্থকদের নিয়ে সোহেল তাজ দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেটে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় অনুমতি সাপেক্ষে সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
সকালে তাজউদ্দিন পুত্র তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি অপর দুই জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সন্তান প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে স্মরণ করে লেখেন, ‘তারা বেঁচে থাকলে নিশ্চয় এ কর্মসূচিতে একাত্ম হতেন।’