রাজধানীর পান্থপথের আবাসিক হোটেলে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ‘প্রেমিক’ মো. রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন এ দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট রেজাউল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১১ আগস্ট রাতে আসামি রেজাউলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুলকে হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। পুলিশ আসামির রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জব্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের সঙ্গে রেজাউলের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
পরিবারের অমতে বিয়ে করায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। রেজাউলের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তা নিয়ে ঝগড়া হয় দুজনের। এরই সূত্রে রেজাউল সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জান্নাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ১০ আগস্ট জান্নাতুলকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে নেয়া হয় পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের আবাসিক হোটেলে। সেখানে থাকা অবস্থায় রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুলের তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। রেজাউল ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে জান্নাতুলের শরীরে একাধিক আঘাত করেন। একপর্যায়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
তালাবদ্ধ রুম থেকে জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধারের পর কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করা হয়। জান্নাতুলের বাবা শফিকুল আলম এ মামলা করেন।