বিএনপি যে ৭৬ জনকে গুমের কথা বলছে, তাদের মধ্যে ১০ জন নেতা-কর্মী মিটিং-মিছিল করছেন, দুজন কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ অবস্থায় গুমের অভিযোগকে 'হাস্যকর' হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ফার্মগেটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অপরাজেয় বাংলা আয়োজন করে এক নাগরিক সমাবেশের। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রধান দেশে এসেছিলেন। তখন বিএনপি অভিযোগ করে তাদের ৭৬ জনকে গুম করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, তাদের মধ্যে ১০ জন বিএনপির নেতা-কর্মী মিটিং-মিছিল করছেন। দুজন কারাগারে আছেন। আর ৩০ থেকে ৩৫ জনকে তো আমরাও খুঁজছি, যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
‘বিএনপির গুমের অভিযোগ হাস্যকর। তারা বলে, আমরা নাকি ৭৬ জনকে গুম করেছি। কে-কোথায় আছে, আমরা তার সবকিছু প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে নিখোঁজ দু-একজনকে আমরা ফিরেও পেয়েছি।
‘বিএনপির শাসনামলে ২০০৫ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ৪৬০। এটি আমাদের কথা নয়, আমেরিকান একটি ওয়েবসাইটে এই লিংক আপনারা পাবেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে ২১ হাজার লোককে হত্যা করা হয়। সন্ত্রাস-গুমের জন্য তারা সব সময়েই অভিযুক্ত। এখন উল্টো সুর তাদের।’
বিএনপির সমালোচনায় মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খায়েশ হয়েছে ক্ষমতা দখলের, তারা নাকি ১০ তারিখ ঢাকায় ঢুকে আমাদের তাড়িয়ে দেবে। আমরা ঢাকা ছেড়ে দেব, আর তারা এসে বসে থাকবে।
‘আবার কী সেই নৈরাজ্য? হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, জঙ্গির উত্থান? এসব ঘটনা আর ঘটাতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন আবারও দেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করার নীল নকশা বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়া হবে না।’
ষড়যন্ত্র প্রতিহতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও তার দোসররা নাকি মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছে। কে প্রধানমন্ত্রী, কে অর্থমন্ত্রী হবেন তা ঠিক করা হচ্ছে।
‘কাকে নাকি প্রেসিডেন্ট বানিয়ে তারেক জিয়াকে ক্ষমতায় আনতে নীল নকশা হয়েছে। যদিও এসব শোনা কথা, আমরা এগুলো বিভিন্ন জনের মুখে শুনছি। তারাই এসব প্রচার করছে। এসব খায়েশ পূরণ হওয়ার নয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা সমাধানে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ইউরোপের যে করুণ অবস্থা, তা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারবেন।
‘ইউক্রেন হলো সারা বিশ্বের শস্যভাণ্ডার। গম, ভুট্টা ও চাল অধিকাংশ জোগান দেয় ইউক্রেন-রাশিয়া। সেখানে চলছে যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে জানি না। তারপরও আমেরিকা-ইউরোপের চাইতে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য তুলনামূলক কম।’