কম্বোডিয়ায় মানব পাচারে জড়িত হারুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুনের হেফাজত থেকে দুটি সিমকার্ডসহ একটি মোবাইল ফোন ও একটি এনআইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, হারুন সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের অন্যতম হোতা। উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে কম্বোডিয়ায় লোকজন পাঠানো হয়। অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করে কম্বোডিয়ায় পাঠানোর খরচ বাবদ ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়া হয়। হারুন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রতারণামূলক প্রশিক্ষণসহ নানান কাজ করেন।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশি লোকজন উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে পড়ে দালালদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। অনেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশি দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রতারক চক্রের প্রবাসী দালালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের বেশ কিছু সদস্যের নাম পাওয়া গেছে।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন জানান, হারুনের অনেক সহযোগী কম্বোডিয়াপ্রবাসী। ভিকটিমদের সেখানে হোটেলে রেখে প্রথমেই তারা পাসপোর্ট কেড়ে নেন। এরপর তাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নামে কথিত বিদেশি ট্রেনিং সংস্থায় নেয়া হয়।
বিদেশি প্রশিক্ষকরা ভিকটিমদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট পরিচালনাসহ অন্যদের সঙ্গে কীভাবে প্রতারণা করা যায়, তার তালিম দেন। ক্লোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল, স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার নামে কৌশলে ডিপোজিট হাতিয়ে নেয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়েস কল ও ভিডিও কল রেকর্ডিং করে প্রতারণার কৌশল শেখানো হয় সেখানে। মূলত ভিকটিমদের ব্যবহার করে মানব পাচারকারী চক্রটি সাইবার অপরাধের কার্যক্রম চালায়।