বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট তো ডুবেছেই, পাশাপাশি বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে গেলেও দুপুরের দিকে আবার জোয়ারের প্রভাবে পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্লাবিত হওয়ায় বাইরে মানুষের আনাগোনাও কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বের হচ্ছেন না কেউ।
বটতলা সড়কে পানি কোমড় সমান হওয়ায় সড়কে এক পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নগরীর পলাশপুর, কলেজ এভিনিউ, হাসপাতাল রোড, কলেজ রোড, হাটখোলা, দপ্তর খানাসহ প্রায় সড়কেই জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে মানুষ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বরিশালে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমের রেকর্ড ৩৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই বৃষ্টিপাত বরিশালে চলতি মৌসুমের রেকর্ড। এই মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টিপাত আর হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৪ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ভোর রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মধ্যে অধিকাংশই বাড়ি ফিরেছেন।