বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির সমাবেশের পর ২ মামলা, আসামি ৪২৯

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৩৯

পুলিশ জানায়, বিএনপির সমাবেশে আসা অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ১৭০ জন খুলনা রেলস্টেশনে হামলা করেছে। স্টেশন ভাঙচুর, নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। অন্যদিকে শহরের দৌলতপুর থানার নতুন রাস্তা মোড়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে ২৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে করা এসব মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে ৪২৯ জনকে।

শনিবার বিএনপির সমাবেশের দিন খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যশোর থেকে আসা নেতা-কর্মীদের। এ ঘটনায় খুলনা রেলস্টেশনের মাস্টার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, ‘মামলায় বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে বিএনপির সমাবেশে আসা অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ১৭০ জন খুলনা রেলস্টেশনে হামলা করেছে। ওই সময় স্টেশনের ২৫টি গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। রেলস্টেশন ভাঙচুর, স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ভাঙচুর ও হামলা করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, তাই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

অন্যদিকে খুলনা শহরের দৌলতপুর থানার নতুন রাস্তা মোড় এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে ২৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলাটি করেছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাক্ষের। মামলার এজাহারে বলা হয়, এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ৬০ জন শনিবার দুপুরে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। সেই সময়ে তারা একাধিক নেতা-কর্মীকে মারধর করে।

দৌলতপুর থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘এই মামলায় এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন খুলনার নেতারা।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘সমাবেশ বানচাল করার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নগ্ন হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা খুলনাসহ আশপাশের এলাকায় ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছে।

‌'বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। পুলিশ বিএনপি নেতাদের বাড়িবাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলায় আসামি করার হুমকি দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। ’

অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি কয়েক দিন ধরে খুলনা ও এর আশপাশের অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এতে জনগণ ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে। এর মধ্যে ১০ জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছে। পথে কোথাও কোনো বাধা দেয়া হয়নি। তবে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস কার্যকলাপ চালায়।’

এ বিভাগের আরো খবর