বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিবন্ধন চাইল এলডিপির ‘ভগ্নাংশ’

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৫৬

এলডিপিতে ভাঙন ধরে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। আব্দুল করিম আব্বাসীকে আহ্বায়ক করে সদস্যসচিব করা হয় শাহাদাত হোসেন সেলিমকে। চলতি বছর কিছু নেতা অলি আহমদের সঙ্গ ছেড়ে সেলিমদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

সাবেক বিএনপি নেতা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে বেরিয়ে আসা ভগ্নাংশ ‘বাংলাদেশ এলডিপি’ নামে নিবন্ধন চেয়েছে।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব আব্দুর হালিমের কাছে এই আবেদন জমা দেন।

নিবন্ধিত প্রায় অর্ধেক দলই কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে না জানিয়ে অস্তিত্বহীন এসব দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও জানায় দলটি।

এলডিপিতে ভাঙন ধরে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। আব্দুল করিম আব্বাসীকে আহ্বায়ক করে সদস্যসচিব করা হয় শাহাদাত হোসেন সেলিমকে। চলতি বছর কিছু নেতা অলি আহমদের সঙ্গ ছেড়ে সেলিমদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব সেলিম বলেন, ‘২০১৯ সালে কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতদিন একই নামে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ এলডিপি নির্ধারণ করেছি।’

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন শর্ত অযৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন শর্ত পালন করা অনেক দুরূহ। তবু আমরা প্রায় সব শর্তই পালন করেছি। একটা শর্ত আছে স্বাধীনতার পর থেকে যেকোনো একটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। আমরা শর্তটি পালন করেছি। আমাদের দলে দুইজন সাবেক সংসদ সদস্য আছে। এর মধ্যে আব্দুল করিম আব্বাসী চারবারের সংসদ সদস্য, অন্যদিকে আব্দুল গণি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।’

১২৭টি উপজেলায় দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান সেলিম।

অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নামে আমরা ২০-দলীয় জোটে ছিলাম। এখন আর সেভাবে জোটের অস্তিত্ব নাই। তবে বিএনপির নেতৃত্বে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হব।’

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসে। নিবন্ধন পাওয়ার আশায় ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাইবাছাইয়ের পর নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল।

শামসুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও কে এম নূরুল হুদা তিন কমিশন মোট ৪৪টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল। তাদের মধ্যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিলও করা হয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

১৬ বছর আগে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে ৩৫ জন সংসদ সদস্য বেরিয়ে এসে অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপি গঠন করেন। ২০০৮ সালে দলটি নিবন্ধন পায়।

নতুন দলগুলোর কাছে গত ২৬ মে আবেদন আহ্বান করে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। পরে অবশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুরোধ করে আসার পর নতুন দলের নিবন্ধনের সময় দুই মাস বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করা নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই সময় ৭৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। তবে কোনো দলকে ইসি নিবন্ধন দেয়নি। পরে আদালতের আদেশে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ববি হাজ্জাজের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং একই বছরের ৯ মে বাংলাদেশ কংগ্রেসকে নিবন্ধন দেয় ইসি।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ কমিশন সে সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়। ফলে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।

এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

এ বিভাগের আরো খবর