বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় জনস্রোত ঠেকাতে সরকারের আচরণ কলঙ্কজনক: রিজভী

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪৩

সরকারের নানামুখী বাধার পরও জনতার ঢলে পরিপূর্ণ খুলনা শহর। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতেই সব চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে সরকার মূলত সান্ধ্য আইন জারি করেছে। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের নির্দেশে আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন, কলঙ্কজনক।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশে সমাবেশের দুই দিন আগে সড়ক পরিবহন ও লঞ্চ ধর্মঘট শুরু করা হয়। সরকারের নির্দেশে এই ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ, রোগী, পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার থেকে ফেরি ও নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোকসমাগম না হয়, তার সব চেষ্টাই করা হয়েছে।

বাস্তবতা হলো, সরকারের এত সব বাধার পরও জনতার ঢলে পরিপূর্ণ এখন খুলনা শহর। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতেই সব চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খুলনায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির লোকজনসহ সেখান থেকে প্রায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

‘শুধু স্থানীয় নেতা-কর্মী নয়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতা-কর্মী ঢাকা থেকে খুলনায় গেছেন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মাইক্রোবাস সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে বাসযোগে সমাবেশে আসার পথে ৫০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট থেকে আসার পথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি ট্রলার আটকে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ঝিকরগাছা থেকে আসার পথে ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

‘কেশবপুর থেকে সমাবেশস্থলে আসার পথে সোনাডাঙ্গায় হকিস্টিক, রড ও ছুরি দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথে নেতা-কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে।'

বিএনপির এই নেতা বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে খুলনা সোনালী ব্যাংক চত্বরে ইতোমধ্যে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, সাতক্ষীরাসহ বিভাগের জেলাগুলো থেকে চিড়া-মুড়ি-গুড়-পানি ও বিছানা নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হয়েছে মানুষ। পথিমধ্যে অনেকেই খবরের কাগজ কিংবা চাদর বিছিয়ে রাত কাটিয়েছেন।

রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রস্বীকৃত ভিন্নমতকে সহ্য করেনি। সমাবেশ করা গণতন্ত্রের একটি অন্যতম প্রধান শর্ত। এটি বাধাগ্রস্ত করার একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্তৃত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত রাখা। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বিষহ পদ্ধতি বজায় রাখতেই খুলনার মহাসমাবেশে সরকার নারকীয় বাধা সৃষ্টি করছে।‘

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর