মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দোসরদের নির্যাতনে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি এক পায়ে খাড়া বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মন্ত্রী এ কথা জানান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জিমিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তিনি যদিও নির্দিষ্ট কোনো সুখবর দিতে পারেননি, তবে বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান সরকার প্রত্যাবাসনে এক পায়ে রাজি, কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেননি (দূত)। এমনকি নির্দিষ্ট তারিখও বলতে পারেননি চীনের রাষ্ট্রদূত।’
দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া আধাঘণ্টার বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে মন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের মূল ফোকাস ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু।’
ব্রিফিংয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান জান্তা সরকার আগের সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়। তারা দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত চুক্তিকে মূল্য দেয় তারা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যায়িত করে তা বন্ধে মিয়ানমারকে বার্তা দেয়ার বিষয়ে ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছিল বেইজিং। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে নেপিডোর সঙ্গে কথাও বলে বেইজিং।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) জানিয়েছেন, সে বিষয়ে নেপিডোর চীনা দূতাবাস কাজ করছে এবং এখন গোলা, বোমা আসা বন্ধ হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সরকার ওখানকার দলিল চায়। সেটা একটা সমস্যা। একটি রোহিঙ্গা পরিবারের কারও কারও কাছে ডকুমেন্ট নেই। বাংলাদেশ দলিলের জটিলতায় যেতে চায় না। নিতে হলে সবাইকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, বর্ডারের জিরো লাইনে ৫ হাজার রোহিঙ্গা আছে। চীনকে বলেছি, তাদের মিয়ানমারের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে।’