রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের শাস্তির আশ্বাসে মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত রাবি কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা অন্দোলন স্থগিত করে চলে গেছেন। তবে রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি।
‘আমাদের কিছু সিনিয়র ডাক্তার দিয়ে এখন চিকিৎসাব্যবস্থা চালু রেখেছি। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে কিছু করার নেই। আজ তাদের সঙ্গে কথা বলে কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।’
বুধবার রাত ৮টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার। উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় লাঞ্ছিত হন কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ সময় চিকিৎসকদের হামলায় আহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষার্থী।
রাত ১০টার দিকে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাত ১২টার দিকে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিল পুলিশ প্রশাসনও।
দীর্ঘ আলোচনা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলীকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আরও আছেন রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক, রাবি প্রশাসনের দুই সদস্য ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্য। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।