আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, তারা কারও কাছে মাথানত করবেন না। প্রয়োজন হলে দেশে ১৯৭১ সালের মতো আরেকটি যুদ্ধ হবে।
বিএনপির সমাবেশে মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নেতার মুক্তি চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগের দোয়া ও আলোচনায় এ কথা বলেন নানক।
চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে হুম্মাম কাদের তার বাবাকে শহীদ আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একা একা নিজ এলাকায় যেতে পারবেন না। সবাইকে শহীদ পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।
ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দলের নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিণ্টুর মুক্তি দাবি করেন, যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন।
নানক বলেন, ‘বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু পরাজিত শক্তির কাছে কখনই মাথানত করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন সমাবেশ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দণ্ডিত আসামি বাবর ও পিণ্টুর মুক্তি চায় মির্জা ফখরুলরা। তখন ওদের মতলব ও উদ্দেশ্য আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না।
‘আপনারা (মির্জা ফখরুল) বাংলাদেশকে কোথায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল? যে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না? যে বাংলাদেশে মতিউর রহমান নিজামীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল? সেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান?
‘তাহলে আমাদের কথা পরিষ্কার- প্রয়োজন হলে ’৭১-এর মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। কিন্তু কারও কাছে মাথানত করব না।’
হুম্মামের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘চট্টগ্রামে জনসভায় কুখ্যাত রাজাকার সালাউদ্দিন কাদেরের পুত্র হুম্মাম কাদের যখন নারায়ে তাকবির-আল্লাহ হুয়াকবার স্লোগান দেয় এবং বলে তার বাবা একজন শহীদ। তখন প্রশ্ন জাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল এবং শহীদ হলেন।
‘তারা শহীদ, না কি একাত্তরের ঘাতকরা ওই সাকা চৌধুরী শহীদ? যুদ্ধাপরাধীরা একাত্তরে জঘন্য অপরাধ করেছে কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন যে ধরনের কথা বলছে তা দেশদ্রোহিতরা শামিল। তাদের এই সকল বক্তব্যের জন্য জাতি কখনোই ক্ষমা করবে না। কাজের আমরা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্ব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, শরিফ আশরাফ, আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।