রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলার আসামি মো. খায়রুল আলম ওরফে খায়রুলকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাকে জামিন দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম. এ. কামরুল হাসান খান (আসলাম)।
মামলার এজাহারে আসামি খায়রুলের নাম ছিল না- এই বিবেচনায় রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত তাকে জামিন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
তবে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান।
চলতি বছরের ৩০ জুলাই রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খায়রুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ড শেষে ৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া খায়রুল ছাড়া বাকিরা হলেন- জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটু ও আরিফুর রহমান সোহেল।
মামলা থেকে জানা যায়, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু। ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার সংলগ্ন ওই রেস্টুরেন্ট থেকে মাইক্রোবাসে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন টিপু। এ সময় রিকশার যাত্রী কলেজছাত্রী প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। টিপুর গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পরে বিভিন্ন সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।