বিষণ্নতায় ভোগা সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রী পরামর্শের জন্য গিয়েছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান রামেন্দ্র কুমার সিংহের (আর কে রয়েল) কাছে। সেই সূত্রে পরিচয়ের পর সখ্য গড়ে ওঠে দুজনের। চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তাদের।
এরই মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন চিকিৎসক রয়েল। পরে রাতেই ওই চিকিৎসককে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে অভিযোগকারীর মামলার পর চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় নগরের ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় তরুণী বলেন, আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।
‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসক রামেন্দ্রকে আটক করা হয়।’
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই ছাত্রী সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
এজাহারের বরাতে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রী ২০১৮ সাল থেকে সিলেটের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই তরুণীর প্রতি চিকিৎসক আসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন।
‘মেয়েটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। ছাত্রীর অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চিকিৎসক।’
মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চিকিৎসককে দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আদালত এখনও কোনো আদেশ দেননি।’