বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাড়া নেননি রিকশাচালক, আপ্লুত বিএনপি

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:২৯

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিকশাচালক আমিনুলের দলের প্রতি ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। তার অবদানের কথা জানতে পেরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও খোঁজ নেয়ার নির্দেশ দেন। রিকশাচালক ভাইটিকে খুঁজে বের করে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন নেতা-কর্মীরা। অনেকে দীর্ঘপথ হেঁটে আবার কেউ রিকশায় চড়ে সমাবেশে যোগ দেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী এক রিকশাচালকের আচরণ নজর কেড়েছে বিএনপির। ভাড়া না নিয়েই দিনভর নেতাকর্মীদের সমাবেশে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

ওই রিকশাচালকের নাম আমিনুল ইসলাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নের গালাগাঁও গ্রামে। এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবন চালালেও ছেলের পড়ালেখার জন্য এক বছর ধরে ময়মনসিংহ নগরীতে থাকেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর ব্রা‏হ্মপল্লিতে চার হাজার টাকা ভাড়ায় একটি বাসায় থাকেন আমিনুল। তার মেয়ে আনন্দমোহন কলেজে মাস্টার্সে এবং ছেলে নটর ডেম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখা করে। পরিবারের খরচ চালাতে নগরীতে রিকশা চালান আমিনুল।

বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, শনিবার দুপুর ২টায় গণসমাবেশ শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার আগে থেকেই কোনো গণপরিবহন পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে রাত থেকেই যে যার মতো সমাবেশে জমায়েত হতে থাকেন। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নগরীতে অনেক রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। তারা কর্মীদের নিয়ে এসে যথাযথ ভাড়া নিয়েছেন৷

কিন্তু আমিনুল দ্রুত রিকশা চালিয়ে কর্মীদের সমাবেশে পৌঁছে দেন। ভাড়া দিতে চাইলে তিনি নেননি। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বিএনপিকে ভালোবাসেন বলে জানান। রিকশাচালকের এমন ভালোবাসায় আপ্লুত হয়েছেন সবাই।

এক প্রতিক্রিয়ায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিকশাচালক আমিনুলের দলের প্রতি ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। আমি জানতে পেরেই খোঁজ নিতে চেষ্টা করি। পরে তার অবদানের কথা জানতে পেরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও খোঁজ নেয়ার নির্দেশ দেন। রিকশাচালককে খুঁজে বের করে দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দলের প্রতি নিজের ভালোবাসার টান থেকে নেতা-কর্মীদের সমাবেশে পৌঁছে দিয়েছি। নিজের সামর্থ্য না থাকায় দলকে অন্যভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ নাই। তাই শ্রম দিয়েই প্রিয় নেত্রীর মুক্তির জন্য ডাকা সমাবেশে লোক পৌঁছে দিয়েছি। নেত্রীর মুক্তি মিললেই আমার শ্রম সার্থক হবে।’

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিকশাচালক আমিনুলকে ভাড়া দিতে চাইলে নেন নাই, বরং কেঁদে দিয়ে বলেছেন, অত্যাচারী শাসকের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে তিনি বিনা ভাড়ায় সার্ভিস দিচ্ছেন।’

শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার তাকে খুঁজে বের করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওই রিকশাচালক ভাইটির কথা হয়েছে। দিনমজুর এই ভাইয়ের পরিশ্রম ও ত্যাগ কখনো ভুলবার নয়। ভাই আপনাকে স্যালুট।’

এ বিভাগের আরো খবর