বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধার ভোট: শুনানিতে ৬৮৫ জনকে ডাকছে তদন্ত কমিটি

  •    
  • ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:১১

বন্ধ ঘোষিত কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট ৬৮৫ জনকে তিন দিনে শুনানির জন্য ডাকার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি। সে সঙ্গে সময়-তারিখ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

৬৮৫ জনকে শুনানির আওতায় নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ‘ব্যাপক অনিয়ম’ খতিয়ে দেখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃ্হস্পতিবার পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে এই শুনানির জন্য আদেশ জারি করেছে ইসির গঠিত তদন্ত কমিটি। মাঠ প্রশাসন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ অনেকেই রয়েছেন এই শুনানির তালিকায়।

ইসির অতিরিক্ত সচিব ও গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে এসব বিষয় জানিয়েছেন।

এ ছাড়া এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন ভোট বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে একে একে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। পরে ভোট স্থগিত করে দেয় ইসি।

এমন অবস্থায় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধার সে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের শেষ করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অনিয়ম তদন্তে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যসচিব ইসির যুগ্ম সচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। আরেক যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাসকেও করা হয়েছে কমিটির সদস্য। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বন্ধ ঘোষিত কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট ৬৮৫ জনকে তিন দিনে শুনানির জন্য ডাকার কথা জানিয়েছে। সে সঙ্গে সময়-তারিখ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কমিটির সদস্যসচিব শাহেদুন্নবী স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ১৮ অক্টোবর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৬ জন সহাকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষ থেকে), গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৩৬ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

১৯ অক্টোবর উপজেলা সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ৪০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রজিাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫২২ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ২০ অক্টোবর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসার দুইজন, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকসহ ২৭ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

শুনানির প্রথম দুই দিন স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মিডিয়া ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ইসি।

কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন বন্ধ করেছেন। সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

৯১-এর বিভিন্ন উপধারাতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল দিতে পারে। অথবা ব্যাপক অনিয়মে দায়ীদের প্রার্থিতা বাতিল করে পার্শিয়াল নির্বাচন দিতে পারে।

এ ছাড়া দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনিয়ম প্রমাণিত হলে নির্বাচন আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।

সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ ১৭টি ইউনিয়নে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।

এ বিভাগের আরো খবর