পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতা নিয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে রোববার অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজের জন্য বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার টার্ন টেবল লেডারের (টিটিএল) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
‘ভূখণ্ড বিচ্ছিন্নে কুকিদের নীলনকশা’ শিরোনামে রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সময়ের আলো। এতে বলা হয়, কেএনএফ বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটি নিজেদের মতো করে মানচিত্র বানিয়েছে। তারা আলাদা রাজ্য বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর নারী-পুরুষের সমন্বয়ে গড়েছে প্রশিক্ষিত বাহিনী।
এমন বাস্তবতায় পার্বত্য এলাকায় কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে সরকারের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফসহ আরও কয়েকটি বাহিনী রয়েছে, আপনারা জানেন। এরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত এলাকায় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের পুলিশ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতেই রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই যা প্রয়োজন, আমাদের পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না, তাদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
‘যখনই টের পাচ্ছি, যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা কোনো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তারা অবস্থান করছে, আমরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছি।’
কেএনএফের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো আমরা দেখছি। যদি কানেকশন পাই, সেটা আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ধারণা করছি যে, জঙ্গিরা ওখানে গিয়েছিল। তারা কেএনএফের ক্যাম্পের পাশাপাশি অবস্থান করছিল।
‘আমরা এগুলো ঘটনা দেখছি, কয়েকজনকে নিয়েছি এবং কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে আপনাদের জানাব।’