লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসা নিয়ে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিষয়টি আইনসিদ্ধ নয় বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে শনিবার জননিরাত্তা বিভাগ মিনি ম্যারাথন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘোষণা দিয়ে বলে দেয়া হয়েছিল, তারা যেন লাঠিসোটা লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। এটা কী ইঙ্গিত বহন করেছিল, আমরা সেটা জানতাম না, জানিও না।
‘আমরা লক্ষ করেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় পেছনে লাঠি এবং সামনে লাঠির ওপরে তাদের দলীয় পতাকা উড়িয়ে তারা এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো মিন করে কী, আপনারা নিজেরাও বোঝেন, নিজেরাও জানেন। আমরা তাদের বলি, আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস করুন, সেখানে আমাদের কিছু ভাবার নেই কিন্তু লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যারি করা, এটা আইনগত সিদ্ধ নয়।’
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর এলাকায় সমাবেশে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী হাতে রড-লাঠি নিয়ে উপস্থিত হন। ওই সমাবেশেই বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতা-কর্মীদের নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আরও মোটা মোটা লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামতে বলেন। একই কথা বলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলামও।
পরে ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাবেশে আসা নিয়ে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাঠি নিয়ে এলে খবর আছে। জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি, এটা মেনে নেব না। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হলে এটা আমরা মেনে নেব না।’
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেটা বলছেন, জায়গায় জায়গায় তাদের পর ইয়ে (হামলা) করা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, তাদের ভাষা, তাদের বাক্য এবং তাদের সবকিছু যেন পরিমিতভাবে ব্যবহার করেন। কারও ওপরে এমন কিছু যাতে না বলেন, যাতে করে তারাও বিক্ষোভ প্রকাশ করে কিংবা প্রতিরোধ তৈরি করে।
‘যত ঘটনা ঘটেছে আমাদের দুই দলের মধ্যে, এমন ধরনের স্লোগান কিংবা বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে, সে জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটছে আমরা যতটুকু শুনেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাতে সমাবেশস্থলে কর্মীরা কেন বসে থাকবে, সেটাও আমাদের জিজ্ঞাসা। সবকিছু মিলেই আমরা মনে করি সবাই যেন আইন মেনে চলে। সুশৃঙ্খল অবস্থায় যার যার কর্মকাণ্ড করবে এটাই আমার আমি আশা রাখি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা তাদের মেনে চলতে হবে। তারা যদি রাস্তা অবরোধ করেন কিংবা ভাঙচুর করেন, জনজীবনে দুঃসহ অবস্থা তৈরি করেন তাহলে আমাদের করার কিছু আছে।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পাশেই থাকবে, তারা যাতে কোন ভাঙচুর অথবা কোনো বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত না হয় তার জন্য তারা খেয়াল রাখবেন।’