বরগুনার তালতলীতে পুকুরপাড় থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ প্রেমিকের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে জিম্মায় রেখেছিল। পরে তাকে হত্যা করে পুকুরপাড়ে ফেলে রাখা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েটির প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ঢং পাড়া এলাকায় শুক্রবার দুপুরে পাওয়া যায় মরদেহটি।
মৃত মারুফা আক্তারের বয়স ১৫। তার বাড়ি ইউনিয়নের বেথিপাড়া এলাকায়।
তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এয়ানেত পিয়াদা বলেন, ‘মারুফার সঙ্গে পাশের এলাকার হৃদয় পহলানের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢং পাড়া এলাকায় একটি বাগানে তারা দেখা করতে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের দেখে হৃদয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়।
‘খবর পেয়ে আমিও সেখানে যাই। মেয়ের পরিবারও আসে। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলায়মানের কাছে মারুফাকে জিম্মায় রাখা হয়। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের সঙ্গে বসে সমাধান করার কথা ছিল।’
এনায়েত জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তবে হৃদয়কে পুলিশ নিয়ে গেছে।
মারুফার ছোট বোন মারিয়াই বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে মরদেহটি প্রথম দেখে।
সে নিউজবাংলাকে জানায়, সকালে পুকুরপাড়ে ফুলগাছে পানি দেয়ার জন্য যায়। এ সময় বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পাওয়ায় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যায়। পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দেখে, মারুফার মৃত্যু হয়েছে।
মারুফার খালু আয়নাল হোসেন বলেন, ‘মারুফাকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে।’