ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলবকে হয়রানিমূলক বলেছে তার দল। বিএফআইইউ কি অর্থপাচারকারীদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
গত মঙ্গলবার দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলবের প্রতিক্রিয়া বৃহস্পতিবার মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
মুফতি ফয়জুলের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোতে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন এক কর্মকর্তা।
ইসলামী আন্দোলনের বিবৃতিতে বলা হয়, বিএফআইইউয়ের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইউনুছ আহমদ বলেন, ‘আলেম-ওলামাগণ অবৈধভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করেননি। আলেমগণ সরকারের সকল আইন-কানুন মেনেই কাজ করে থাকেন।
‘কিন্তু যারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, ব্যাংকের টাকা লুট করেছে, ব্যাংকের লকআপে গচ্ছিত স্বর্ণকে তামায় পরিণত করেছে, দেশের সম্পদ লুটপাট করছে, দুর্নীতি করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে, সে সকল দোষীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কি তাদের হিসাব তলব করেছেন? চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ব্যাংক হিসাব তলব না করে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থিদের উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে হয়রানির মানে কী?’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশে নানামুখি সংকট চলছে। সর্বত্র ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠছে। এসব ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্যই দেশের বরেণ্য আলেম ও ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীরের ব্যাংক হিসাব তলব নাটক সাজানো হয়েছে।
‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে দমানোর জন্যই কথিত ব্যাংক হিসাব নাটক করা হয়েছে। তিনি সরকারের অপরিণামদর্শি কর্মকাণ্ডে দেশে নতুন করে সংকট সৃষ্টি করবে। কাজেই আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ইসলামী জনতা বরদাশত করবে না।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম অংশ নেন। তিনি হাতপাখা প্রতীকে ২৭ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে জামানত হারান।