লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রী মারা গেছে। এ ছাড়া অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত হয়েছে তার মা ও ছোট ভাই।
সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর এলাকায় বুধবার ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিকা বেগম গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা সৌদিপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার জয়নাল আবেদিন জানান, স্কুলশিক্ষার্থী আনিকা বেগম নিহত হয়েছে। তার মা জোসনা বেগম ও ছোট ভাই রিফাত হোসেন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, উত্তর জয়পুর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বসতঘরে বুধবার ভোর রাতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই আগুনে পুড়ে যায় বসতঘর।
এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় আনিকা। অগ্নিদগ্ধ হয় আনিকার মা ও ছোট ভাই রিফাত। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দুজনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটে পাঠানো হয়। তবে জমিসংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ডা. জয়নাল আবেদিন জানান, অগ্নিদগ্ধ জোসনার শরীরের ৯০ ভাগ ও রিফাতের ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। তবে দুজনের অবস্থায় আশঙ্কা জনক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুৎতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের উপপরিদর্শক আলহাজ উদ্দিন বলেন, ‘বসতঘরে আগুন লেগে স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তার পরিবারের আরও দুজন। তাদের অবস্থা গুরুতর। তবে বৈদ্যুৎতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কোনো ঘটনা জড়িত রয়েছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।’
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার সাহা বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। পুড়ে গেছে একটি বসতঘর। অগ্নিকাণ্ডে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা হয়।’