কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নতুন কমিটির নেতা-কর্মী ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে এ সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতারা ঢাকা থেকে এলাকায় পৌঁছান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মিষ্টি খাওয়ার সময় পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরাও সেখানে যান। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পাঁচজন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন মঈন বলেন, ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিবাহিত, অছাত্র, বয়স উত্তীর্ণ ও মাদকাসক্তদের দিয়ে ২৯ সদস্যের উপজেলা কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। কমিটি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি।
‘কমিটিতে ৯ সহ-সভাপতি, ৯ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৯ সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন বিবাহিত। কথিত এই কমিটি ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদেরকে আমরা হোসেনপুর উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করি।’
তিনি বলেন, ‘আজ শুনলাম এই বিতর্কিত কমিটির নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল করবে, তখন আমরা প্রতিবাদ মিছিল বের করি। আমরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে কুড়িঘাট থেকে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় কমিটির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের পাঁচ থেকে সাতজন আহত হয়েছেন।’
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মোখলেছ।
তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের কমিটির নেতা-কর্মীদের কোনো সংঘর্ষ হয়নি৷ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমরা যখন মিষ্টিমুখ করছিলাম, তখন পদবঞ্চিতরা দা, ছোরা নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী তাদেরকে প্রতিহত করেছে।’
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুদ আলম জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের মধ্যে এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
৫ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ ওমান খান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা কমিটি ঘোষণা করেন।
২৯ সদস্যের কমিটিতে মুস্তাফিজুর রহমান মোখলেছকে সভাপতি ও ইয়াসীর আরাফাত শুভকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
পরদিন সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ।