ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করা মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সবাই আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী৷ প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বে আছি। সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই। এ নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই।’
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।
জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনসহ দ্বাদশ ভোটেরও মাঠের পরিস্থিতি জানতে দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে গত শনিবার ঢাকায় বৈঠকের প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে প্রশ্ন রেখেছিলেন।
সেই আলোচনায় অতীতের নানা ভোট ও চলমান জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তখনই সভাকক্ষে হইচই তৈরি হয়।
ডিসি এসপিদের আপত্তির মুখে সেই কমিশনার জানতে চান, তারা তার বক্তব্য শুনতে তারা ইচ্ছুক কি না। জবাবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নেতিবাচক সাড়া দিলে বক্তব্য থামিয়ে ডায়াসে চলে যান আনিছুর।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘ওই বিষয়ে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড।’
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা স্যাটেলড জিনিস, শেষ হয়ে গেছে। সাকসেসফুলি আমাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। ওনারা বলেছে তারা এটা করবেন। আমাদের আলোচনা তারা মন দিয়ে শুনেছেন।
‘ওনারা (ডিসি-এসপি) যেসব সমস্যার কথা বলেছেন, আমারাও বলেছি আমরা আমাদের সীমিত সক্ষমতার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
আলমগীর বলেন, ‘আমাদের এখানে এটা একটা টিমওয়ার্ক। টিমের নানা রকম সদস্যরা থাকেন। দ্বিমত থাকে। তারপর বিতর্ক হয়। আলোচনা হয়।’
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই আমরা দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। যিনি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হবেন, তাকে বাদ দেয়া হবে; আমি হই আর যেই হোক। কারণ, প্রতিষ্ঠান তো থাকবে। লোক চেঞ্জ হতে পারে, প্রতিষ্ঠান তো চেঞ্জ হবে না।
‘কমিশনে আমি যদি আমার রোল প্লে না করতে পারি আমি তো থাকব না। আমার পরিবর্তে আরেকজন আসবে।’