বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাইবান্ধার উপনির্বাচনে আ.লীগ-জাপার লড়াই

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ২২:২৬

ভোটাররা জানান, নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। জাতীয় পার্টির দুর্গ খ্যাত আসনটি ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ মরিয়া।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা উঠান বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। চরাঞ্চলের উন্নয়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রতিটি অলিগলি, রাস্তাঘাট। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে বইছে নির্বাচনী আমেজ। বেজে চলেছে মাইক।

রোববার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসন। ১২ অক্টোবর এ আসনে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে প্রার্থী পাঁচ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও আসনটি দখলে নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তবে ভোটাররা বলছেন, সৎ, যোগ্য এবং এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে ২৪ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সাঘাটা উপজেলার যুগিপাড়া গ্রামের ভোটার আব্বাস ব্যাপারি বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার আছিল আমাদের প্রিয় নেতা। সুখে দু:খে তাকে কাছে পাইছি। এবার যাই এমপি হোক, তাকেও পাশে চাই।’

একই গ্রামের জসিম আলী বলেন, ‘গতবার তো ভুট দিতে পারি নাই। এবার যেন ভুটটা দিতে পারি।’

ফুলছড়ি উপজেলা সদরের ভোটার রিপন মিয়া বলেন, ‘নদী ভাঙন এ এলাকার বড় সমস্যা। প্রতিবছর নদী ভাঙনে আমরা ভিটেমাটি হারাচ্ছি। যে প্রার্থী আমাদের স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে বাঁচাতে পারবে; আমরা চরবাসী তাকেই ভোট দিমু। এমপি বানামু।’

এবার প্রথম গাইবান্ধায় ইভিএমে ভোট হবে। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা শঙ্কা। বিশেষ করে চরঞ্চলের ভোটারের মাঝে শঙ্কা একটু বেশি। ভোট দেয়ার পদ্ধতি জানা না থাকায় চিন্তায় আছেন তারা।

এদিকে ইভিএমের বিষয়ে মাইকিং, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে। ভোটারদের সশরীরে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটদান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা।

এ নিয়ে চর কাবিলপুল গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পড়ালেখা জানি না। মেশিনত ভোট দিমু কেবা করে।’

ভোটাররা জানান, নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। জাতীয় পার্টির দুর্গ খ্যাত আসনটি ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ মরিয়া। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখানে মনোনয়ন দিয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনকে।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

এ ব্যাপারে মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।’

লাঙল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাঘাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু। আসনটি পুনরুদ্ধারে ভোট চান তিনি।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী রঞ্জু বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমি আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারব।’

বড় দুই দলের পাশাপাশি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পোস্টার ছেড়া হচ্ছে। কর্মীদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো।’

আসনটিতে প্রথমবারের মতো ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

১৫৪টি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কথা জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইভিএমের বিষয়ে নির্বাচনী এলাকায় মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণসহ এসএমএসের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে। ইভিএমে ভোট দেয়ার প্রশিক্ষণও চলছে।’

দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনে ১৫৪টি কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে। ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর