বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুষি মেরে অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভাঙলেন চিকিৎসক

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:১২

অভিযুক্ত চিকিৎসক বায়েজিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একাব্বর আলীকে ডেকে জিজ্ঞেস করি কার অনুমতিতে এখানে গাড়ি রাখা হয়েছে। এমন প্রশ্নে সে আমাকে ধাক্কা মারে। এতে রাগান্বিত হয়ে ঘুষি মেরে গ্লাস ভেঙে ফেলি। এতে আমার হাত কেটে গেলে আমি জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসক বায়েজিদ মিয়া বাঁধনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সের মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত আখিতারা বেগম ফুলবাড়ি থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অভিযোগ দিয়েছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান নিউজবাংলাকে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে আখিতারা উল্লেখ করেছেন, বুধবার দুপুরের দিকে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে গাছের নিচে দুটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাখা ছিল। এ সময় আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার বায়েজিদ মিয়া বাঁধনসহ তার সঙ্গীরা বাঁশের লাঠি, রড দিয়ে দুটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেন। এতে তার ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত তার স্বামী একাব্বর আলীকে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। এ সব ঘটনা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরাসহ স্থানীয় অনেকের কাছে ভিডিও ধারণ করা রয়েছে।

একাব্বার আলী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর নামে দুটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ৯৯৯ ফোন আসলে রোগী বহন করা হয়। ঘটনার দিন আমাকে ঠিকাদার মোজাফফর হোসেন ফোন দিয়ে বলেন বায়েজিদ স্যার আমাকে ডাকছেন। পরে আমি সেখানে গেলে বায়েজিদ স্যার আমাকে গাড়ি হাসপাতালের মধ্যে গাড়ি কেন রেখেছি, কার অনুমতি নিয়ে রেখেছি- এমন কথাবার্তার একপর্যায় উত্তেজিত হয়ে তিনি আমাকে ধাক্কা মেরে অ্যাম্বুলেন্সের বাম পাশের গ্লাস ঘুষি মেরে ভেঙে ফেলেন।

এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে সবাই ছোটাছুটি করে দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেই। কিন্তু স্যারের কিছু সঙ্গী এ সময় অ্যাম্বুলেন্স দুটি ভাঙচুর করেন।’

অভিযোগকারী আখিতারা বলেন, ‘আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে। স্বামীর আয়ের ওপরই ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা খরচসহ পাঁচজনের সংসার চলতো। কিন্তু দেড় বছর থেকে বেতন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। এরপর জমি বিক্রি এবং লোন নিয়ে পুরাতন দুটি গাড়ি কিনে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ভাড়া খেটে সংসার চলছে। একজন চিকিৎসক ব্যক্তিগত আক্রোশে গাড়ি দুটি ক্ষতি করেছেন। আমি ক্ষতিপূরণ ও সঠিক বিচার চাই।’

অভিযুক্ত চিকিৎসক বায়েজিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একাব্বর আলীকে ডেকে জিজ্ঞেস করি কার অনুমতিতে এখানে গাড়ি রাখা হয়েছে। এমন প্রশ্নে সে আমাকে ধাক্কা মারে। এতে রাগান্বিত হয়ে ঘুষি মেরে গ্লাস ভেঙে ফেলি। এতে আমার হাত কেটে গেলে আমি জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন কান্তি সাহা বলেন, ‘এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যার অবগত আছেন। আমি পূজার ছুটিতে আছি। অফিস খুললেই তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে।’

ফুলবাড়ি থানার ওসি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর