পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ফটিক মোড় থেকে বাবলার বাড়ি পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সড়কটির কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহালেও এটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সময় এই সড়কটি পাকা ছিল। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন সড়কের মেরামত কাজ হলেও এই সড়কের মেরামত হয়নি দীর্ঘকাল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ফটিক মোড় থেকে বাবলার বাড়ি সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় গ্রামের মানুষকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে শহরে আসতে হয়। এতে কয়েক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তারা বলছেন, চরগড়গড়ি, সাহাপুর, কাদিমপাড়া ও রূপপুর গ্রাম কৃষিপ্রধান। এসব পণ্য নিয়ে দূরদুরান্তের পথ ঘুরতে হয় কৃষকদের। এতে তাদের খরচ ও ভোগান্তি বাড়ছে। এছাড়া দুর্ভোগে পড়ছে রোগী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ফটিক মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাবলার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত ও খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই তা কাদাপানিতে একাকার হয়ে পড়েছে।
রূপপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ রাস্তাটুকু গলার কাঁটা হয়ে আছে। জনপ্রতিনিধি, কর্তৃপক্ষ সব জায়গায় বলা হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বছরের পর বছর ধরে এ দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে। কী কারণে আমাদের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে তা জানা নেই।’
সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিলন হোসেন জানান, ‘ফটিক মোড় থেকে বাবলার বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যবহার হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।’
সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমলাক হোসেন বাবু বিশ্বাস বলেন, ‘ফটিক মোড়ের সড়কটি ওই এলাকার মানুষের প্রায় ৬০ বছরের লালিত স্বপ্ন। স্থানীয় কিছু মানুষ সড়কটির জমি দখল করে মামলা করায় বার বার এর উন্নয়ন কাজ আটকে গেছে। গত নির্বাচনে আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাটি ভরাট কাজ করা হয়েছে। রাস্তার আইডি নম্বর নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে সড়কটি পাকা করা সম্ভব হবে।’