মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই যুবক নিজেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
রোববারের এ ঘটনায় সোমবার মাদারীপুর সদর থানায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এ শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সদর উপজেলায় রোববার দুপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা দেখানোর জন্য স্কুলে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় তার ২২ বছর বয়সী প্রেমিক কৌশলে তাকে পৌর শহরে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন।
ওসি জানান, রাত ৯টার দিকে ওই যুবক সেই ছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতেই ওই মেয়ের পরিবার ও সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমি ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা দেখানোর জন্য বিদ্যালয় এলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সে আমাকে হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে অনেক জোর করে পানি খেতে দেয়।
‘আমি সরল বিশ্বাসে পানি খাওয়ার কিছু সময় পরই অচেতন হয়ে যাই। এরপর আমাকে ধর্ষণ করে সে। রাতে দেখি আমি হাসপাতালের বিছানায়। আমাকে সে বিয়ে করলে কোনো আপত্তি নেই, তা না হলে ওর কঠোর বিচার দাবি করি।’
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে স্পষ্টভাবে বলা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার কি না। এর আগে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তার যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।’
ওসি মনোয়ার বলেন, ‘ঘটনা জানার পর সদর হাসপাতালে গিয়ে একজন এসআই খোঁজখবর নিয়েছে। রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। কোনোভাবেই অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সর্দারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘মামলা হওয়ার পরপরই আসামি পলাতক রয়েছে, এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের। অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’