বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেলা পরিষদ নির্বাচনে লেমিনেশন পোস্টার!

  •    
  • ২ অক্টোবর, ২০২২ ২০:০৮

নির্বাচনের মৌসুম এলে অনেক প্রার্থী বৃষ্টির কবল থেকে পোস্টারকে বাঁচাতে তা পলিথিনে মুড়িয়ে দেন। আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দ্রুত তা নিজ দায়িত্বে সরান না। ফলে পলিথিন নর্দমায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকাশ-বাতাসে এখন নির্বাচনি আমেজ। মনোনয়পত্র জমা, প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়ে এখন চলছে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা। আর সেই প্রচার-প্রচারণার অংশ হচ্ছে ব্যানার-পোস্টার।

নির্বাচনি আচরণবিধিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন বা প্লাস্টিক মোড়ানো পোস্টার করা নিষিদ্ধ হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা মানা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ সদস্যদের প্লাস্টিক লেমিনেশনকৃত পোস্টারে শহর ছেয়ে গেছে। বৃষ্টি-বাতাসের হাত থেকে পোস্টারকে বাঁচাতে প্রার্থীরা লেমিনেশন করেছেন।

পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা বলছেন, নির্বাচনের মৌসুম এলে অনেক প্রার্থী বৃষ্টির কবল থেকে পোস্টারকে বাঁচাতে তা পলিথিনে মুড়িয়ে দেন। আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দ্রুত তা নিজ দায়িত্বে সরান না। ফলে পলিথিন নর্দমায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. শাহগীর আলম যোগদানের পরপরই সব ধরনের মুদ্রণে প্লাস্টিকের লেমিনেশন ব্যবহারে নিষেধ করেছেন। জেলা প্রেস মালিক সমিতির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি জানান, পরিবেশের জন্য পলিথিন ও প্লাস্টিক ক্ষতিকর। পোস্টার লেমিনেশন করা হলে জরিমানা করা হবে বলে হুশিয়ার করে দেন তিনি।

একাধিক প্রার্থী জানান, জেলা পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেনা না বলে তারা কম পোস্টার ছেপেছেন। শহরে এক একজন প্রার্থীর ২-৩ হাজার পোস্টার টাঙানো হয়েছে।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের প্লাস্টিক লেমিনেশন করা পোস্টারে ৯ থেকে ১৮.৫ গ্রাম করে পলিথিন ব্যবহার হয়ে থাকে। পলিথিনসহ এসব আবর্জনা পৌর শহরের বিভিন্ন নালা–নর্দমায় গিয়ে জমা হবে। ফলে তা একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ করবে, অন্যদিকে বৃষ্টির পানি আটকে তা জলাবদ্ধতা তৈরিতেও ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, এটি নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটি দেখতে ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য একটি চিঠি এসেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, ‘প্লাস্টিক লেমিনেশনের মুদ্রণে আমি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। এটি পরিবেশবান্ধব নয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি আইনশৃঙ্খলা সভায় এই পোস্টারগুলো সরানোর নির্দেশ করা হয়েছে। যদি তারা না সরায়, তাহলে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এগুলো অপসারণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর