নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কথিত কবিরাজি চিকিৎসায় এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৬ বছরের ওই কিশোরের নাম সোহেল রানা।
মাগুড়া ইউনিয়নের শাহপাড়া এলাকার কবিরাজ একাব্বর আলীর বাড়িতে শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, রানা কয়েক বছর ধরে প্যারালাইজড রোগে আক্রান্ত। তার হাত-পা অকেজো অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়েও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি সে।
তিন দিন আগে রানাকে কবিরাজের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন রানার বাবা কেরামত আলী। একাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে একই এলাকার আফতাব উদ্দিন ও মহির উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম চিকিৎসা চালান শিশুটির।
নিহতের বাবা একরামুল জানান, হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ওদিন থেকে তেল মালিশ ও ঝারফুক করা হয় রানাকে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে পায়ের ওপর বালুর বস্তা দিয়ে রাখা হলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার পায়ের রগ ছিঁড়ে যায়। পরে মারা যায় সে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন রানার বাবা। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তিন কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করা হয়েছে। এতে ছেলেটি মারা যায়।’
মরদেহ উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।